মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
  • ৯৪ Time View

ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতরভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগে আনা হয়েছে ভারতের বিপক্ষে। আর সেই কাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’ এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম বা ইউএসসিআইআরএফ।

মঙ্গলবার ইউএসসিআইআরএফ এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৫ প্রকাশিত হয়। এতে র’কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করাসহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। ওই মার্কিন কমিশনের দাবি, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার চেষ্টায় ‘র’-এর সযোগ রয়েছে। সেই কারণেই এই সুপারিশ করেছে তারা।

খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে ২০২৩ সালে হত্যার ষড়যন্ত্রে ‘র’-এর এক কর্তার যোগ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে আমেরিকা। পন্নুন মর্কিন নাগরিক। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই দাবি করেছিল, ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর নেতা পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন ‘র’-এর কর্তা বিকাশ যাদব। যদিও নয়াদিল্লি তখনই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগ নেই। বিকাশ এবং ‘র’, উভয়ের উপরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য সুপারিশ করেছে মার্কিন কমিশন।

এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুধু ওই প্রতিবেদনের সমালোচনাই নয় বরং সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।

২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন আমেরিকান শিখ নাগরিক হত্যাচেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং – ‘র’ এর একজন কর্মকর্তা ও দেশটির ছয়জন কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ আবারো সামনে এনেছে ইউএসসিআইআরএফ।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদন ও কানাডা সরকারের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযোগ এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থাটি ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে।

ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা সিপিসি-এর তালিকাভুক্ত করতেও সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সিপিসি’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে সরকার ‘বিশেষ করে গুরুতর’ ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে সম্পৃক্ত হয় বা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহনশীল হয় সেসব দেশ কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করছে, মার্কিন সংস্থাটি পরিস্থিতির ‘পক্ষপাতপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ মূল্যায়ন করেছে। তারা ‘তথ্যকে বিকৃত করে পেশ করছে।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

জনপ্রিয়

যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র’কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ

Update Time : ০২:৩৯:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫

ধর্মীয় স্বাধীনতা গুরুতরভাবে লঙ্ঘনের অভিযোগে আনা হয়েছে ভারতের বিপক্ষে। আর সেই কাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মেলায় দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং ‘র’ এর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম বা ইউএসসিআইআরএফ।

মঙ্গলবার ইউএসসিআইআরএফ এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৫ প্রকাশিত হয়। এতে র’কে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করাসহ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার দল বিজেপিকে নিয়েও মন্তব্য করা হয়েছে। ওই মার্কিন কমিশনের দাবি, শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হত্যার চেষ্টায় ‘র’-এর সযোগ রয়েছে। সেই কারণেই এই সুপারিশ করেছে তারা।

খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা গুরপতবন্ত সিংহ পন্নুনকে ২০২৩ সালে হত্যার ষড়যন্ত্রে ‘র’-এর এক কর্তার যোগ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে আমেরিকা। পন্নুন মর্কিন নাগরিক। মার্কিন তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই দাবি করেছিল, ‘শিখ ফর জাস্টিস’ (এসএফজে)-এর নেতা পন্নুনকে হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত ছিলেন ‘র’-এর কর্তা বিকাশ যাদব। যদিও নয়াদিল্লি তখনই জানিয়ে দিয়েছিল, ওই ঘটনার সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগ নেই। বিকাশ এবং ‘র’, উভয়ের উপরেই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য সুপারিশ করেছে মার্কিন কমিশন।

এ বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুধু ওই প্রতিবেদনের সমালোচনাই নয় বরং সংস্থাটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভারত।

২০২৩ সালে নিউইয়র্কে একজন আমেরিকান শিখ নাগরিক হত্যাচেষ্টায় ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং – ‘র’ এর একজন কর্মকর্তা ও দেশটির ছয়জন কূটনীতিকের জড়িত থাকার অভিযোগ আবারো সামনে এনেছে ইউএসসিআইআরএফ।

আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিবেদন ও কানাডা সরকারের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযোগ এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সংস্থাটি ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে।

ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ বা সিপিসি-এর তালিকাভুক্ত করতেও সুপারিশ করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। সিপিসি’র সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, যেসব দেশে সরকার ‘বিশেষ করে গুরুতর’ ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে সম্পৃক্ত হয় বা লঙ্ঘনের ব্যাপারে সহনশীল হয় সেসব দেশ কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন হিসেবে বিবেচিত হয়।

প্রতিবেদনে ভারতে সংখ্যালঘুদের অধিকার লঙ্ঘন এবং তাদের জীবন ও সম্পদের ওপর আক্রমণের বেশ কিছু ঘটনার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দাবি করছে, মার্কিন সংস্থাটি পরিস্থিতির ‘পক্ষপাতপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপূর্ণ মূল্যায়ন করেছে। তারা ‘তথ্যকে বিকৃত করে পেশ করছে।’