
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ৫৫ বছর বয়সী ৫ সন্তানের জনক কর্তৃক এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতঃপর ঐ শিশু এখন তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা এ ঘটনায় পুরো উপজেলা তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। মেয়েটি স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ।গতকাল বুধবার (৯ এপ্রিল) সরেজমিন পরিদর্শন কালে এলাকার মুরব্বিদের কাছ থেকে এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ধর্ষকের বাড়ি বোয়ালমারী উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের কমলেশ্বরদী গ্রামে তিনি স্হানীয় কিতাবদী শেখের ছেলে, মুকুল শেখ (৫৫)।
অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটির জীবন এখন চরম হুমকির মুখে। পেটে ব্যাথা, বমি আর রক্তক্ষরণের ফলে গুরুত্বর অসুস্থ অবস্থার মধ্যে দিন পার করছে সে। অর্থাভাবে মিলছেনা তার উন্নত চিকিৎসাও।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, অভাবের তাড়নায় বেশ কয়েক বছর আগে বিদেশে পাড়ি জমান মেয়েটির মা। বাবা আর তিন বোনের সংসার তাদের। কাজের জন্য বাবা যখন বাইরে যান তখন অরক্ষিত থাকে তার তিন কন্যা সন্তান। আর এ সুযোগটিই বেছে নেয় লম্পট দুই স্ত্রীর ও ৫ সন্তানের জনক মুকুল শেখ। সে কু-মতলব নিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে ভুক্তভোগী মেয়েটিসহ তার পরিবারের সাথে। এক পর্যায়ে ৩ মাস আগে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে বাড়ির পাশে মেহগনি বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে মুকুল শেখ। তবে কসমেটিক কিনে দেওয়ার প্রলোভনে আড়ালেই থেকে যায় ঘটনাটি। সম্প্রতি পেট ব্যাথা, বমির সমস্যা নিয়ে স্হানীয় হাসপাতালে এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় করানোর পর দেখাযায়, শিশুটি তিন মাসের অন্তঃসও্বা। এরপরই ঘটনাটি পারিবারিক ভাবে জানতে পারেন। পরে শিশুটির কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষকের নাম প্রকাশ পায়। এই ঘএনাটি জানাজানি হওয়ার পর
স্থানীয় গণ্যমান্যরা সালিশ-মিমাংসার আশ্বাস দেওয়ায় এখন পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নেয়নি ভুক্তভোগীর পরিবার।
এই বিষয় মেয়েটির বাবা ইনকিলাবকে বলেন, আমার শিশু কন্যার জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে লম্পট মুকুল শেখ। ওর কঠোরন বিচার চূই আমি। গ্রামের মাতুব্বররা ন্যায় বিচার করে দিবেন এমন আশ্বাস পেয়ে বসে আছি। দ্রুত সমাধান না পেলে আইনের দ্বারস্থ হব। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র ইনকিলাবকে বলছেন গ্রাম্য মাতুব্বরা সময় ক্ষেপণ করে তারাই এখন শিশু ধর্ষনের ঘটনাটি ধামা চাপা দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে শেষ করতে চান এমন অভিযোগ ও উঠছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন ইনকিলাব কে বলেন, মেয়ের বাবার নিকট থেকে ঘটনা অবহিত হয়েছি। এর সত্যতাও পাওয়া গেছে। গ্রামের মুরব্বিরা এলাকায় বসে মিমাংসা করার পক্ষে মতামত দিয়েছেন। তবে ভুক্তভোগী পক্ষ যেটা চাইবে সেটাই করা হবে।