ইসরায়েলকে ড. ইউনূসের ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার দাবিটি ভুয়া: প্রেস উইং

  • Reporter Name
  • Update Time : 11:55:35 am, Sunday, 20 April 2025
  • 40 Time View

‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন’, এই দাবিটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। রোববার (২০ এপ্রিল) চিফ অ্যাডভাইজারস প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচার মূলত অধ্যাপক ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান যে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার, তারই অংশ।

পোস্টটি লিখা হয়, ইসরায়েলকে টাকা দেওয়া–বিষয়ক দাবিটি মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদি নামের এক বক্তা সম্প্রতি কোনো এক বয়ানে করেছেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এই বক্তব্য চার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

প্রেস উইং জানায়, স্বতন্ত্র ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ আমেরিকার ইসরায়েলকে ১ কোটি ডলারের সহায়তার বিষয়টি নিয়ে প্রথম ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলা ইনসাইডার নামক একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে তা আরও কিছু অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামলার ভয়াবহতা শুরু হয়, সে সময়ই বাংলাদেশে প্রচারিত হতে শুরু করে যে ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের ‘প্রোপাগান্ডা’ সাইট হিসেবে পরিচিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ইনসাইডারের সে বছরের ১৩ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদন থেকে আলোচিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে।

ওই প্রতিবেদনে দাবিটির পক্ষে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতির বিষয়ে বলা হয়েছিল। তবে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সে সময় প্রকাশিত কোনো বিবৃতিতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, বলা হয়েছে প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেসবুক পেজে।

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ওই দাবিসংবলিত কোনো বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও রিউমার স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়। তা ছাড়া ইসরায়েলের সাংবাদিক ও ফ্যাক্ট চেকাররাও এমন কোনো সহায়তার বিষয়ে অবগত নন বলে রিউমার স্ক্যানারকে জানান। একই সঙ্গে ইউনূস সেন্টারও বিষয়টি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে।

প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, দেশের সব আলেম–ওলামা ও দায়িত্বশীল নাগরিককে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশে শান্তি–শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টায় থাকা ব্যক্তিদের অপপ্রচার রুখে দেওয়ার আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

Popular Post

মুখে কালো কাপড় বেঁধে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

ইসরায়েলকে ড. ইউনূসের ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়ার দাবিটি ভুয়া: প্রেস উইং

Update Time : 11:55:35 am, Sunday, 20 April 2025

‘প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইসরায়েলকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন’, এই দাবিটি সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। রোববার (২০ এপ্রিল) চিফ অ্যাডভাইজারস প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।

পোস্টে বলা হয়, এ ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট প্রচার মূলত অধ্যাপক ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান যে সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার, তারই অংশ।

পোস্টটি লিখা হয়, ইসরায়েলকে টাকা দেওয়া–বিষয়ক দাবিটি মুফতি আলাউদ্দিন জিহাদি নামের এক বক্তা সম্প্রতি কোনো এক বয়ানে করেছেন। তার এই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিরা এই বক্তব্য চার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন।

প্রেস উইং জানায়, স্বতন্ত্র ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ আমেরিকার ইসরায়েলকে ১ কোটি ডলারের সহায়তার বিষয়টি নিয়ে প্রথম ২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলা ইনসাইডার নামক একটি অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত হয়। পরবর্তী সময়ে ধাপে ধাপে তা আরও কিছু অনলাইন পোর্টাল ও পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমার স্ক্যানারের অনুসন্ধানের বরাত দিয়ে বলা হয়, তাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২৩ সালের অক্টোবরে যখন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে হামলার ভয়াবহতা শুরু হয়, সে সময়ই বাংলাদেশে প্রচারিত হতে শুরু করে যে ইসরায়েলকে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস।

অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী লীগের ‘প্রোপাগান্ডা’ সাইট হিসেবে পরিচিত অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ইনসাইডারের সে বছরের ১৩ অক্টোবরের একটি প্রতিবেদন থেকে আলোচিত দাবিটি ছড়িয়ে পড়ে।

ওই প্রতিবেদনে দাবিটির পক্ষে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতির বিষয়ে বলা হয়েছিল। তবে ওই মন্ত্রণালয় থেকে সে সময় প্রকাশিত কোনো বিবৃতিতে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি, বলা হয়েছে প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেসবুক পেজে।

পোস্টটিতে আরও বলা হয়, ওই দাবিসংবলিত কোনো বিবৃতি প্রকাশিত হয়নি বলে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও রিউমার স্ক্যানারকে নিশ্চিত করা হয়। তা ছাড়া ইসরায়েলের সাংবাদিক ও ফ্যাক্ট চেকাররাও এমন কোনো সহায়তার বিষয়ে অবগত নন বলে রিউমার স্ক্যানারকে জানান। একই সঙ্গে ইউনূস সেন্টারও বিষয়টি ভুয়া বলে নিশ্চিত করেছে।

প্রেস উইং ফ্যাক্টস নামের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, দেশের সব আলেম–ওলামা ও দায়িত্বশীল নাগরিককে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশে শান্তি–শৃঙ্খলা বিনষ্টের চেষ্টায় থাকা ব্যক্তিদের অপপ্রচার রুখে দেওয়ার আহ্বান জানায় অন্তর্বর্তী সরকার।