শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভূমি অফিসে ‘ঘুষের হাট’: সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সেচ্ছায় মামলা

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
  • ৫৩ Time View

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার দিবর-শিহাড়া-নির্মইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষের লেনদেন ও তাদের প্রকাশ্য সহযোগিতায় দালাল চক্রের দ্বারা সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছেন নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আগামী ১৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত।এর আগে গত ১৮ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি -এর অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে “ভূমি অফিস যেন ‘ঘুষের হাট’ পত্নীতলার দিবর-শিহাড়া-নির্মইল ইউনিয়ন ভূমি অফিস” শিরোনামে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নওগাঁর পত্নীতলা আমলি আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলি আদালতের নজরে আসে। প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে আমলি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এটা স্পষ্ট যে, কোন ধরণের অফিসিয়াল সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই খোরশেদ আলমসহ দালাল চক্রের বেশ কিছু সদস্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা ও প্রশ্রয়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন যা দন্ডনীয় অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, এই অপরাধের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কাদের দ্বারা ও সহযোগিতায় সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করা প্রয়োজন মনে করে তা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামীদের সনাক্তকরণ, অপরাধ সংঘটনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় নিরুপণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র প্রস্তুত করারও আদেশ দেন আদালত।

ম্যাজিস্ট্রেট আদেশে উল্লেখ করেন, এভাবে কোনো ধরণের অফিসিয়াল সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই দালাল চক্রের অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাওয়া এবং কাজের কথা বলে সেবাগ্রহীতাদের নিকট থেকে অবৈধভাবে টাকা গ্রহণ করে তাদের সাথে প্রতারণা করা পেনাল কোড, ১৮৬০ এর অধীন দন্ডনীয় অপরাধ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় বাড়ি নির্মাণে চাদাবাজির অভিযোগ,নির্মাণ কাজ বন্ধ

ভূমি অফিসে ‘ঘুষের হাট’: সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সেচ্ছায় মামলা

Update Time : ০৫:৪২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার দিবর-শিহাড়া-নির্মইল ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘুষের লেনদেন ও তাদের প্রকাশ্য সহযোগিতায় দালাল চক্রের দ্বারা সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর স্বপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করেছেন নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নওগাঁর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে নওগাঁর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বিশেষ পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন।

আগামী ১৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশও দেন আদালত।এর আগে গত ১৮ এপ্রিল বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি -এর অনলাইন পোর্টালের ফেসবুক পেজে “ভূমি অফিস যেন ‘ঘুষের হাট’ পত্নীতলার দিবর-শিহাড়া-নির্মইল ইউনিয়ন ভূমি অফিস” শিরোনামে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

নওগাঁর পত্নীতলা আমলি আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর তা আমলি আদালতের নজরে আসে। প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে আমলি ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এটা স্পষ্ট যে, কোন ধরণের অফিসিয়াল সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই খোরশেদ আলমসহ দালাল চক্রের বেশ কিছু সদস্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা ও প্রশ্রয়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাচ্ছেন যা দন্ডনীয় অপরাধ।

তিনি আরও বলেন, এই অপরাধের সঙ্গে আরও কারা জড়িত এবং কাদের দ্বারা ও সহযোগিতায় সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে খুঁজে বের করা প্রয়োজন। তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করা প্রয়োজন মনে করে তা তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকালে আসামীদের সনাক্তকরণ, অপরাধ সংঘটনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময় নিরুপণ, সাক্ষীদের জবানবন্দি, ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র প্রস্তুত করারও আদেশ দেন আদালত।

ম্যাজিস্ট্রেট আদেশে উল্লেখ করেন, এভাবে কোনো ধরণের অফিসিয়াল সংশ্লিষ্টতা ছাড়াই দালাল চক্রের অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে যাওয়া এবং কাজের কথা বলে সেবাগ্রহীতাদের নিকট থেকে অবৈধভাবে টাকা গ্রহণ করে তাদের সাথে প্রতারণা করা পেনাল কোড, ১৮৬০ এর অধীন দন্ডনীয় অপরাধ।