
গাইবান্ধা জেলা শহরের পশু হাসপাতাল এলাকায় নির্মাণাধীন বাড়ির মালিকের কাছে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি হারুণ মিয়া, মিলন মিয়া, নজরুল ইসলামসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। নিরুপায় হয়ে ভুক্তিভোগি রেহেনা বেগম গাইবান্ধা সদর থানা ও সেনাবাহিনী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
আজ শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান। রেহেনা বেগমের বাড়ি পশু হাসপাতাল এলাকার আব্দুল রহমানের মেয়ে।
অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা পৌরসভার রেহেনা বেগম (৫৪) পশুহাসপাতাল রোড ঘেঁষে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করছিলেন। ভবন নির্মাণের জায়গাটি ২০০৯ সালের ৪ মে ক্রয় করেন তিনি। সম্প্রতি পশু হাসপাতাল এলাকার হারুণ মিয়া, মিলন মিয়া, নজরুল ইসলাম ও আলআমিনসহ ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে। দাবি করা চাঁদার টাকা না দিলে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন তাঁরা। চাঁদার টাকা না পেয়ে সম্প্রতি অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নির্মাণাধীন ভবনের কাজ বন্ধ করে দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম আরও জানান, চাঁদা দাবির বিষয়টি প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনকে জানালে তাঁর পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত নজরুল ইসলামকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাঁর বক্তাব্য পাওয়া যায়নি।এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর রহমান তালুকদার বলেন,এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঘটস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।