গাইবান্ধা জেলা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীচা বাজার এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পুর্বক ধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে বিষ্ণু সাহার ছেলে সজীব সাহা(২৫) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই যুবতী জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে ধর্ষন মামলা দায়ের করে।
মামলার বিবরনী থেকে জানা যায়, আসামি সজীব সাহা হিন্দু হওয়া স্বত্তেও তার নিজ এলাকার ২১ বছর বয়সী এক মুসলিম যুবতীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।
পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ঔই যুবতীর বাবা অন্যত্র বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রেমিক সজীব তার প্রেমিকার অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় সেটা কখনো মন থেকে মেনে নিতে পারতেছিলেন না।
এই ক্ষোভ ধরে প্রেমিক সজীব তার সাথে প্রেমের কথা ঔই যুবতীর স্বামী কে বলে দিবে এবং সংসার ভেঙ্গে দিবে সহ নানা রকম হুমকি দিতে থাকে। এমন অবস্থায় গত বছর ২০২৪ সালের ২৯ শে জানুয়ারী ঔই যুবতী তার স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসলে এই সুযোগে সেই দিন সন্ধ্যায় প্রেমিক সজীব তার এক সহযোগী সহ সেখানে এসে নানা রকম ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এবং ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম হবার আশ্বাস সহ বিয়ের প্রলোভন দেখায়।
এসব কথা শুনে ঔই যুবতী কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুখে কাপড় বেঁধে মটর সাইকেলের মাঝখানে বসিয়ে অপহরন করে কাবজের বাজারের বেগুন বাড়ি নামক এলাকায় সজীব তার এক বন্ধুর বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে জোর পুর্বক ধর্ষন করে।
পরের দিন সেখান থেকে নানা রকম চাটুকারি কথা বলে বাসে করে গাজীপুরের ভাওয়াল মির্জাপুর কলেজের সামনে একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে প্রেমিক সজীব হিন্দু থেকে মুসলিম হয়েছে বলে ঔই যুবতীর মনে মিথ্যা বিশ্বাস স্থাপন করে তার কাছে থেকে ৩ টি সাদা ষ্টাম্পে সাক্ষর নিয়ে বলে তাদের বিয়ে হয়েছে।
এই মিথ্যা বিশ্বাস স্থাপন করে প্রেমিক সজীব ঔই যুবতীর সাথে একের অধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। প্রতারক সজীব ঔই যুবতীকে কারো সাথে যোগাযোগ করতে না দিয়ে সুযোগ বুঝে কয়েকদিন পর যুবতীকে ফেলে সেই ভাড়া বাসা থেকে সে পালিয়ে যায়।
শেষে কোন উপায় না পেয়ে ঔই যুবতী তার বাবার বাড়িতে আসে এবং কয়েক জন সাক্ষী সহ প্রতারক প্রেমিক সজীবের বাসায় যায় এবং তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে আসার কথা জিজ্ঞেস করে। প্রতারক সজীব তার বিয়ের কথা ও ধর্ম পরিবর্তনের ঘটনা সহ সব অস্বীকার করে।
এমন কি তার বাড়ির লোকজন দ্বারা ঔই যুবতীকে বের করে দেয় এবং পরবর্তীতে যেনো আর না আসে সেজন্য নানা রকম হুমকি দেয়। ঔই যুবতী বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে গত ২০২৪ সালের ১০ মার্চ সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ নানা রকম তালবাহানা করে।
একপর্যায়ে থানা কর্তৃপক্ষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন। পরিশেষে ঔই যুবতী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে ট্রাইবুনালের বিচারক আসামি সজীবের প্রতি সমন জারি করেন।
এতে সে আদালতে উপস্থিত না হলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে।এই গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে প্রতারক সজীব চলমান বছর ২০২৫ সালের ২৩ শে ফ্রেব্রুয়ারী জামিন নিতে আসলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান।
এর পর থেকে জামিনের একাধিক বার আবেদন করলেও আদালত প্রতারক প্রেমিক সজীবের জামিন না মঞ্জুর করেন।
এ বিষয়ে প্রেমিক সজীবের পরিবারের সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎকারের চেষ্টা করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোনো সারা মেলেনী ।