গাইবান্ধা জেলা সদরের রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গড়দিঘি গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতবাড়ি তে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে প্রতিপক্ষগন। এ ঘটনায় বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, যুবক সহ ৩ জন আহত হয়।
বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার অবস্থায় গুরুতরো আহত হওয়ায় তাদের কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ইসমাইল হোসেনের সাথে একই গ্রামের মশিউর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য সহ শত্রুতা চলে আসছিল। একে কেন্দ্র করে গতকাল ২৮ শে এপ্রিল রবিবার বিকেল মশিউর রহমান তার ছোট ভাই লাল বাবু, স্ত্রী জহুরা বেগম, মা জামিলা সহ তাদের লোকজনদের কে নিয়ে দেশীয় মারাত্মক অস্ত্র সহ ইসমাইলের বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর চালায়।
এতে বাড়িতে থাকা ইসমাইলের বৃদ্ধ বাবা আব্দুর সালাম ও বৃদ্ধা মা জুলেখা বেগম বাধা দিতে গেলে তাদের কে এলোপাথাড়ি মারপিট করে আহত করে। এ সুযোগে ঘরের ষ্টীলের বাক্সের তালা ভেঙ্গে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও আড়াই ভড়ি স্বর্ণ লুটপাট করে।
পরে তার ভাতিজা রাসেল বাধা দিতে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারপিট করে। পরে আহত অবস্থায় তাদের আত্নচিৎকারে আশেপাশে লোকজন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়নত্রনে আনে। তাদের কে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠায়।
অপর দিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন প্রতিপক্ষগন। এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত মশিউরের স্ত্রী জহুরা বেগম, বলেন ইসমাইল হোসেনদের বাড়িঘরে আমরা হামলা চালা্ইনি ।
তারা নিজের বাড়িঘর ভাংচুর করে মিথ্যা দোষ আমাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে । তিনি বলেন যখন আমি জানতে পারলাম বালুয়া বাজারে আমার স্বামীকে দশ বারো জন মিলে হামলা করেছে তখন আমি ও আমার স্বাশুড়ী জামিলা বেগম তাদের ইসমাইলদের বাসায় যাই ঘটনাটি জানতে
সেখানে গিয়ে দেখি অনেক লোকজন তাদের বাসার সামনে । তিনি আরো উল্টো আরো অভিযোগ করেন আমি আর স্বাশুড়ী ছাড়া আর অন্য কাউকে নিয়ে যাইনী আমাদের দুজন কে দেখে তারাই আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ।
আমরা দুজন কিভাবে তাদের বাসায় হামলা চালালাম আর আহত কিভাবে করলাম । তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত মশিউরের পরিবারের অন্য কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি ।