
দক্ষিণ এশিয়ায় হঠাৎ করে যুদ্ধোত্তেজনা ফের চরমে পৌঁছেছে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক সংঘাতে। এরই মাঝে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর নির্ধারিত ইউরোপ সফর—ক্রোয়েশিয়া, নেদারল্যান্ডস ও নরওয়েতে যাত্রা—স্থগিত করেছেন। সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে সফর বাতিলের কারণ জানানো না হলেও, কূটনৈতিক মহলে এটা স্পষ্ট যে পাকিস্তানে ভারতের সামরিক অভিযানের পরবর্তী প্রতিক্রিয়াই এই সিদ্ধান্তের মূল পটভূমি। ভারতীয় সীমান্তে বাড়তি সতর্কতা ও সম্ভাব্য পাল্টা হামলার আশঙ্কা সামনে রেখে মোদির এই সফর বাতিলকে কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরে রাতের আঁধারে ভারতীয় বাহিনীর ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে অন্তত ৯টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়। মাত্র ২৫ মিনিটে ২৪টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, এবং এতে ভারতীয় সূত্র অনুযায়ী অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন। যদিও পাকিস্তান দাবি করেছে, প্রাণহানি হয়েছে ২৬ জনের। এই অভিযান জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলার পাল্টা জবাব বলে জানিয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী মোদি দিল্লিতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেনা বাহিনীর এ অভিযানকে “সুনিপুণ ও গর্বের মুহূর্ত” হিসেবে আখ্যা দেন এবং বলেন, এটি ছিল একটি নিখুঁত পরিকল্পিত অভিযান যেখানে কোনো ভুল হয়নি।
এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোদির ইউরোপ সফর স্থগিত করা হয়, যদিও সরকারিভাবে এর পেছনে কোনও কারণ জানানো হয়নি। এমন সময়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, যখন ভারতের সীমান্ত অঞ্চলে যুদ্ধাবস্থার আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া কী হবে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও দুশ্চিন্তা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মোদির সফর স্থগিত করা বোঝায় যে ভারত এখন তার কূটনৈতিক অগ্রাধিকার পুনর্বিবেচনা করছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপে সতর্ক থাকতে চাইছে।
Reporter Name 















