দেশে আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ হ্রাস পেতে শুরু করবে। সাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরির শঙ্কাও দেখা দিয়েছে। ফলে সারাদেশে আবারও ভ্যাপসা গরম ফিরে আসতে পারে।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারবেশন টিম (বিডব্লিউওটি) এর পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃষ্টির পরিমাণ ক্রমশ হ্রাস পেলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্নভাবে হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে, পাশাপাশি কিছুটা বৃষ্টি রংপুর বিভাগেও দেখা যেতে পারে।
সংস্থাটি জানায়, এই বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পরপরই বঙ্গোপসাগরে একটি সাইক্লোনিক সিস্টেমের (ঘূর্ণিঝড় সম্ভাব্যতা) প্রাথমিক কাঠামো তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে রূপ নেওয়ার প্রাক্কালে ‘ল্যান্ড টু সি ব্রীজ’ বা স্থানীয় বায়ুপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে দেশের ওপর বিরাজ করতে পারে প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরম, যা জনজীবনে চরম অস্বস্তির সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে।
তাপমাত্রা হয়তো খুব বেশি না হলেও আকাশে বিপুল পরিমাণ জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি তীব্র গরমের অনুভূতি তৈরি করবে। ফলে মানুষ প্রচণ্ড ঘামবে এবং অস্বস্তি বাড়বে। তবে এই গরমের তীব্রতা সিস্টেমটি উপকূলের কাছাকাছি আসতে শুরু করলে কিছুটা কমে আসবে।
ঘূর্ণিঝড় কেটে যাওয়ার পর জুনের প্রথম সপ্তাহেই দেশের ভেতরে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করতে পারে, যা দিয়ে এবারের বর্ষা মৌসুমের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। বর্ষার আগমনে প্রকৃতিতে ফিরে আসবে প্রাণচাঞ্চল্য—গাছে গাছে ফুটবে কদম ফুল, আর খাল-বিল-ডোবায় শুরু হবে ব্যাঙের মিলনগীত, সেই চিরচেনা ‘ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর’ আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠবে গ্রামবাংলা।