
সাদুল্লাপুরে যৌতুকের অর্ধেক টাকা দিতে না পারায় স্ত্রীকে গরম স্যাঁকা, পায়ের রগ কেটে দিলে দিয়ে স্বামী চম্পট।
খাবার নিয়ে ঝগড়ায় স্ত্রীর পায়ের গোড়ালি কেটে পালালেন স্বামী
গাইবান্ধায় খাবার নিয়ে স্বামীর সঙ্গ ঝগড়ার জেরে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শারমিন আক্তার (২৮) নামের এক গৃহবধূ। সোমবার উপজেলার সাদুল্লাপুরে জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে ওই গৃহবধূর মা সুফিয়া বেগম বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন।
জানা গেছে, ওই গৃহবধূকে গরম লোহার রড দিয়ে মুখ, কান ও হাতে ছ্যাঁকা দেন তার স্বামী আলমগীর হোসেন (৩৫)।
এরপর কাঁচি দিয়ে কেটে দেন বাম পায়ের গোড়ালি। গুরুতর অসুস্থ শারমিন আক্তার বর্তমানে সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন পালাতক রয়েছেন।
শারমিন আক্তার একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন ছোট দাউদপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি হাট-বাজারে ছাগল কেনাবেচা ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর আগে আলমগীর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় শারমিন আক্তারের। বিয়ের পর থেকেই সামান্য কথাকাটাকাটিতেই আলমগীর স্ত্রীকে প্রায়ই নির্যাতন করতেন।
ঘটনার দিন সোমবার সকালে খাবার নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে আলমগীর স্ত্রীকে মারপিট করে এবং ভাত রান্নার চুলায় রড গরম করে মুখে, কানে ও হাতে ছ্যাকা দেয়। এরপর কাঁচি দিয়ে তার বাম পায়ের গোড়ালি কেটে দেয়। এতে প্রচন্ড রক্তক্ষরণে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগীর মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘নির্যাতনের পর আমার মেয়েকে ফেলে রেখে আলমগীর পালিয়ে যায়।
পরে দুপুরে প্রতিবেশীরা গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। ’
সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এসএম শফিক আরেফিন বলেন, ‘রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে দগদগে ক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে পায়ের গোড়ালি কাটা যাওয়ায় তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ’
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজউদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর হাসপাতাল ও ছোট দাউদপুর গ্রামে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ’
গাইবান্ধা প্রতিনিধি 











