
গাইবান্ধায় ভ্যাকু গাড়ি ব্যবহার করে ফসলি জমির উর্বর মাটি (Topsoil) অবৈধভাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অতিরিক্ত অর্থের প্রলোভন দেখিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।
যদিও বাংলাদেশে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং ভূমি ব্যবহার নীতিমালা, ২০০১ রয়েছে, তবুও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে। আইন থাকলেও বাস্তবে হস্তক্ষেপ না হওয়ায় এই অবৈধ কর্মকাণ্ড নির্বিঘ্নে চলতে পারছে।
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, এভাবে জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি তুলে নেওয়া হলে সেই জমি আবার ফসল উৎপাদনের উপযোগী হতে কমপক্ষে ৫–১০ বছর, অনেক ক্ষেত্রে ১০–১৫ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।
ফসলি জমির উর্বর মাটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাকৃতিকভাবে মাত্র ১ সেন্টিমিটার উর্বর মাটি তৈরি হতে ১০০–২০০ বছর সময় লাগে। তাই কয়েক ঘণ্টার লোভে বহু প্রজন্মের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, অবৈধ মাটি উত্তোলন চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গাইবান্ধা তার কৃষিজ উর্বরতা হারাবে এবং ধানসহ সব ফসল উৎপাদনে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটবে।
এখনই অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ না হলে ক্ষতি অপূরনীয় হয়ে উঠবে। এতে সাধারণ কৃষকেরা প্রশাসনের দ্রুত ও কার্যকর হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন।
নিয়াম শেখ গাইবান্ধা প্রতিনিধি 









