মেয়ে কে ধর্ষণের দায়ে বাবার ফাঁসি

  • Reporter Name
  • Update Time : 01:32:59 pm, Wednesday, 16 April 2025
  • 17 Time View

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বেড়াতে যায় বোনের বাড়িতে। রাতে বাবা তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে।

তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (স্পেশাল পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

Popular Post

মেয়ে কে ধর্ষণের দায়ে বাবার ফাঁসি

Update Time : 01:32:59 pm, Wednesday, 16 April 2025

চুয়াডাঙ্গায় কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবা আলতাপ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত আলতাপ হোসেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সীগঞ্জ গ্রামের মৃত সাদেক আলী মৃধার ছেলে। তিনি ঘরজামাই হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা হুদাপাড়া গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন।

আদালত ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পার্শ্ববর্তী গাংনী ইউনিয়নে ওই কিশোরীকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের কয়েকদিন পর স্বামীর বাড়িতে অবস্থানকালে পেটে ব্যথা ও বমি বমি ভাব হলে প্রেগনেন্সি পরীক্ষার মাধ্যমে ২-৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগী জানায়, ২০২৩ সালের ৫ ডিসেম্বর তার মা বেড়াতে যায় বোনের বাড়িতে। রাতে বাবা তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ২-৩ মাসে ৭-৮ বার ধর্ষণ করে।

তদন্ত শেষে আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাবর আলী ২০২৪ সালের ১১ ডিসেম্বর অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।

চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসূলি (স্পেশাল পিপি) এমএম শাহজাহান মুকুল বলেন, কিশোরী ধর্ষণ মামলায় পিতা আলতাপ হোসেনকে (৪৬) সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ হয়েছে।