আলোচিত টিপকাণ্ডে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কনস্টেবলের মামলা।

  1. আলোচিত টিপকাণ্ডে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কনস্টেবলের মামলা।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার আলোচিত টিপকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার ও তার স্বামীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন চাকরিচ্যুত সেই কনস্টেবল নাজমুল তারেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শের ই বাংলা নগর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই মামলায় লতা সমাদ্দার ও তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা ছাড়াও নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সুবর্ণা মোস্তফা, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার ও কুসুম সিকদারসহ শোবিজের আরও বেশ-কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিপ পরা ছবি প্রকাশ করে পুলিশ ও নাজমুলের সম্মানহানির জন্য তারকাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

নাজমুল তারেক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ‘টিপকাণ্ডে’ জড়িয়ে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনা সেসময় টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়।

ওই বছরের ২ এপ্রিল পুলিশ সদস্যের উল্টোপথে বাইক নিয়ে যাওয়া থেকে ঘটনার সূত্রপাত। তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের পায়ে বাইক লাগলে নাজমুল তারেকের সঙ্গে তর্ক হয়।

লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছিলেন, তিনি কলেজের পাশে হয়রানির শিকার হন। পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে তাকে কটূক্তি করেন।

সে সময় লতা সমাদ্দরের পক্ষ নিয়ে টিপ পরা ছবির সঙ্গে নানা ক্যাপশন জুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের একটা অংশ।

এছাড়া ওই সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ দেন লতা সমাদ্দর। যার জেরে চাকরি হারান পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল। পরে তিনি চাকরি ফেরত চেয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন, যা এখন তদন্তাধীন পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছেও আবেদন করেছেন তিনি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

Popular Post

আলোচিত টিপকাণ্ডে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কনস্টেবলের মামলা।

Update Time : 02:47:09 am, Friday, 18 April 2025
  1. আলোচিত টিপকাণ্ডে ১৮ জনের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কনস্টেবলের মামলা।

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকার আলোচিত টিপকাণ্ডের ঘটনায় তেজগাঁও কলেজের শিক্ষিকা ড. লতা সমাদ্দার ও তার স্বামীসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন চাকরিচ্যুত সেই কনস্টেবল নাজমুল তারেক।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার চিফ ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে তিনি মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শের ই বাংলা নগর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

এই মামলায় লতা সমাদ্দার ও তার স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচ্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মলয় মালা ছাড়াও নাট্য অভিনেতা আনিসুর রহমান মিলন, সুবর্ণা মোস্তফা, সাজু খাদেম, প্রাণ রায়, সায়মন সাদিক, মনোজ প্রামাণিক, স্বাধীন খসরু, চয়নিকা চৌধুরী, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, দেবী সান, নাজনীন নাহার চুমকি, সুষমা সরকার ও কুসুম সিকদারসহ শোবিজের আরও বেশ-কয়েকজন অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টিপ পরা ছবি প্রকাশ করে পুলিশ ও নাজমুলের সম্মানহানির জন্য তারকাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছে।

নাজমুল তারেক ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রটেকশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২২ সালে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় ‘টিপকাণ্ডে’ জড়িয়ে বেশ আলোচনায় আসেন তিনি। ওই ঘটনা সেসময় টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়।

ওই বছরের ২ এপ্রিল পুলিশ সদস্যের উল্টোপথে বাইক নিয়ে যাওয়া থেকে ঘটনার সূত্রপাত। তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক লতা সমাদ্দারের পায়ে বাইক লাগলে নাজমুল তারেকের সঙ্গে তর্ক হয়।

লতা সমাদ্দার অভিযোগ করেছিলেন, তিনি কলেজের পাশে হয়রানির শিকার হন। পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি ‘টিপ পরছোস কেন’ বলে তাকে কটূক্তি করেন।

সে সময় লতা সমাদ্দরের পক্ষ নিয়ে টিপ পরা ছবির সঙ্গে নানা ক্যাপশন জুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের একটা অংশ।

এছাড়া ওই সময় পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অভিযোগ দেন লতা সমাদ্দর। যার জেরে চাকরি হারান পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল। পরে তিনি চাকরি ফেরত চেয়ে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন, যা এখন তদন্তাধীন পর্যায়ে রয়েছে। এছাড়া জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর চাকরি ফিরে পেতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছেও আবেদন করেছেন তিনি।