বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পলাশবাড়ীতে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৮৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
  • ৭৪ Time View

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৮৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ টাকা উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে আত্মসাতের এই ঘটনাটি জানাজানি হলে পলাশবাড়ী উপজেলা ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিপুল পরিমাণ এই টাকা আত্মসাতের ঘটনার সাথে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মাদ নাজমুল হুদার সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী আহসান হাবীব শাহীন টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। বেশির ভাগ টাকাই উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য তাজুল ইসলাম মিলন। অবশিষ্ট এই টাকা ৩০ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে পরিশোধ করার কথা রয়েছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পেক্ষাপট পরিবর্তনের পরপরই নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন বাসুদেবপুর কলেজের গ্রন্থাগারিক ও জামালপুর গ্রামের প্রয়াত ঘুঘু ডাক্তারের ছেলে আবু জাফর মোহাম্মাদ নাজমুল হুদা নান্টু।

সেই সুবাদে মসজিদ কমিটির সদস্যদের রেজুলেশন জাল করে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প থেকে (অবকাঠামো বাবদ) অধিগ্রহণের ৮৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা সরকারি ফান্ড থেকে উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে এই টাকা গাইবান্ধা পূবালী ব্যাংকে নিজ একাউন্টে চেকের মাধ্যমে তিনি ট্রান্সফার করেন।

গতকাল বিষয়টি জানা জানি হলে, মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী আহসান হাবীব শাহীন ও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে তাজুল ইসলাম মিলন, রমজান আলী ও আলমগীর হোসেনের সহায়তায় নান্টুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে নান্টু তা অস্বীকার করলেও, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের কারণে পরবর্তীতে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।

তাৎক্ষণিক ভাবে সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যগণ নান্টুকে সাথে নিয়ে গাইবান্ধার পূবালী ব্যাংক শাখার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন। সেখানে গিয়ে ব্যাংকটির ম্যানেজারের সহযোগীতায় উক্ত টাকা উদ্ধার করে মসজিদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট পলাশবাড়ী সোনালী ব্যাংক শাখায় ট্রান্সফার করা হয়।

আত্মসাতকৃত ৮৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার বেশির ভাগ উদ্ধার হলেও এখনও ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

জনপ্রিয়

পলাশবাড়ীতে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৮৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে

পলাশবাড়ীতে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৮৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে

Update Time : ০২:১৩:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ৮৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ টাকা উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

২৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে আত্মসাতের এই ঘটনাটি জানাজানি হলে পলাশবাড়ী উপজেলা ব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়। বিপুল পরিমাণ এই টাকা আত্মসাতের ঘটনার সাথে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর মোহাম্মাদ নাজমুল হুদার সরাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী আহসান হাবীব শাহীন টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। বেশির ভাগ টাকাই উদ্ধার করা সম্ভব হলেও এখন পর্যন্ত ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন মসজিদ পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য তাজুল ইসলাম মিলন। অবশিষ্ট এই টাকা ৩০ এপ্রিল বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে পরিশোধ করার কথা রয়েছে।

জানা যায়, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পেক্ষাপট পরিবর্তনের পরপরই নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন বাসুদেবপুর কলেজের গ্রন্থাগারিক ও জামালপুর গ্রামের প্রয়াত ঘুঘু ডাক্তারের ছেলে আবু জাফর মোহাম্মাদ নাজমুল হুদা নান্টু।

সেই সুবাদে মসজিদ কমিটির সদস্যদের রেজুলেশন জাল করে, ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প থেকে (অবকাঠামো বাবদ) অধিগ্রহণের ৮৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা সরকারি ফান্ড থেকে উত্তোলন করেন। পরবর্তীতে এই টাকা গাইবান্ধা পূবালী ব্যাংকে নিজ একাউন্টে চেকের মাধ্যমে তিনি ট্রান্সফার করেন।

গতকাল বিষয়টি জানা জানি হলে, মসজিদ কমিটির সভাপতি কাজী আহসান হাবীব শাহীন ও অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে তাজুল ইসলাম মিলন, রমজান আলী ও আলমগীর হোসেনের সহায়তায় নান্টুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে নান্টু তা অস্বীকার করলেও, অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের কারণে পরবর্তীতে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।

তাৎক্ষণিক ভাবে সভাপতিসহ অন্যান্য সদস্যগণ নান্টুকে সাথে নিয়ে গাইবান্ধার পূবালী ব্যাংক শাখার উদ্দ্যেশ্যে রওনা হন। সেখানে গিয়ে ব্যাংকটির ম্যানেজারের সহযোগীতায় উক্ত টাকা উদ্ধার করে মসজিদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট পলাশবাড়ী সোনালী ব্যাংক শাখায় ট্রান্সফার করা হয়।

আত্মসাতকৃত ৮৭ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকার বেশির ভাগ উদ্ধার হলেও এখনও ৫৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে মসজিদ পরিচালনা কমিটি।