
বৃহস্পতিবার (২২মে) দুপরে গাইবান্ধা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব মোঃ বায়োজিদ বোস্তামি জীম এ হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০০-১৫০ জন কে অজ্ঞাত নামা করে আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ যোগ্য আসামিরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিক, সহ সভাপতি শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর মিলন, সদরের সাবেক সাংসদ ও হুইপ মাহবুব আরা বেগম গিনি, সুন্দরগঞ্জের সাবেক সাংসদ সদস্য নাহিদ নিগার সুলতানা, সদর আসনের সাবেক সাংসদ শাহ সারোয়ার কবীর, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার সাবেক সাংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, ফুলছড়ি-সাঘাটার সাবেক সাংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপন,
পলাশবাড়ী- সাদুল্যাপুর উপজেলার সাবেক সাংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম।স্মৃতি, শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ রঞ্জু, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর জামান রিংকু, মৃদুল মোস্তাফিজ ঝন্টু, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ আহসান হাবীব রাজীব, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসিফ সরকার।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃত্ব দেওয়ার কারনে তাকে অপহরন করে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আসিফের বাসায় বন্দী করে রাখা হয় এবং লোহার রড, হকেষ্টিক ও বাশের লাঠি দিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে।
পরে সেই দিন রাত ১০ টার দিকে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সামনে রাস্তার ওপর ফেলে তাকে হত্যার জন্য গলা চিপে ধরে। এমন অবস্থায় তার আত্নচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে আসলে তারা পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ৪ আগষ্ট ২ টার দিকে ডিসি অফিসের সামনে মিছিল থেকে তাকে জোর করে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে নিয়ে গিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে এবং তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ৭০-৭৫ টি রাবার বুলেট ছোড়া হয়।
তারপর তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম তালুকদার জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ কাজ করছে।