নারী সেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে বহিরাগত যুবক, অতঃপর..!

  • Reporter Name
  • Update Time : 12:04:22 pm, Sunday, 19 January 2025
  • 55 Time View

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বহিরাগত এক যুবককে আটক করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, আটক যুবকের নাম আশরাফুল আলম পারভেজ ওরফে যাযাবর পারভেজ (৩১)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডাবলমুরিং থানায়। বর্তমানে গাজীপুরে থাকেন। হিম উৎসব দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন তিনি।

আটক ওই যুবক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টির এক নারী শিক্ষার্থীর মাধ্যমে তিনি হলে ওঠেন। ওই যুবককে আটকের পর তাকে শাড়ি ও টিপ পরিয়ে দেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর তাকে জুতাপেটা করে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিম উৎসব শেষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কপালে টিপ, প্লাজো ও মুখে ঘোমটা দিয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে প্রবেশ করেন পারভেজ। তৃতীয় তলায় কক্ষে গিয়ে চাঁদর খুলে ফেলার পর আশপাশের কক্ষে থাকা ছাত্রীরা তার উপস্থিতি টের পায়। এ নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরে তাকে আটক করা হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রী হলের নিরাপত্তা বিঘ্নের প্রতিবাদে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

আটক পারভেজের পরিচিত ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন,‌‌‌ ‘আমরা উভয়েই ভালো বন্ধু। হিম উৎসবে সে এসেছিল। রাতে থাকার জায়গা না থাকায়, তাকে হলে নিয়ে এসেছি। আমরা কেউ আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না।’

বহিরাগত পারভেজ বলেন, ‘আমরা দু’জন ভালো বন্ধু। সাত বছরের বন্ধুত্ব। দু’জনেই লালন ভক্ত। আমি হিম উৎসবে বেড়াতে এসেছি। হলে আসার সময় আমি কপালে টিপ পরে এবং মুখ ও শরীর চাদরে মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি।’

এ সময় আটক পারভেজ ওই নারী শিক্ষার্থীকে বিয়ের বন্দোবস্ত করেছেন বলে দাবি করেন। তবে ওই নারী শিক্ষার্থীর স্বামীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি পারভেজকে চেনেন না বলে জানান।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হই। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আটক যুবক ও অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Tavir Rahman

Popular Post

নারী সেজে জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে বহিরাগত যুবক, অতঃপর..!

Update Time : 12:04:22 pm, Sunday, 19 January 2025

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রী হলের একটি কক্ষ থেকে বহিরাগত এক যুবককে আটক করেছেন নারী শিক্ষার্থীরা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে এ ঘটনা ঘটে।জানা গেছে, আটক যুবকের নাম আশরাফুল আলম পারভেজ ওরফে যাযাবর পারভেজ (৩১)। তার বাড়ি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের ডাবলমুরিং থানায়। বর্তমানে গাজীপুরে থাকেন। হিম উৎসব দেখতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন তিনি।

আটক ওই যুবক বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টির এক নারী শিক্ষার্থীর মাধ্যমে তিনি হলে ওঠেন। ওই যুবককে আটকের পর তাকে শাড়ি ও টিপ পরিয়ে দেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এরপর তাকে জুতাপেটা করে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিম উৎসব শেষে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কপালে টিপ, প্লাজো ও মুখে ঘোমটা দিয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে প্রবেশ করেন পারভেজ। তৃতীয় তলায় কক্ষে গিয়ে চাঁদর খুলে ফেলার পর আশপাশের কক্ষে থাকা ছাত্রীরা তার উপস্থিতি টের পায়। এ নিয়ে ক্যাম্পাস জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। পরে তাকে আটক করা হয়। ক্যাম্পাসে ছাত্রী হলের নিরাপত্তা বিঘ্নের প্রতিবাদে মধ্যরাতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা।

আটক পারভেজের পরিচিত ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন,‌‌‌ ‘আমরা উভয়েই ভালো বন্ধু। হিম উৎসবে সে এসেছিল। রাতে থাকার জায়গা না থাকায়, তাকে হলে নিয়ে এসেছি। আমরা কেউ আপত্তিকর অবস্থায় ছিলাম না।’

বহিরাগত পারভেজ বলেন, ‘আমরা দু’জন ভালো বন্ধু। সাত বছরের বন্ধুত্ব। দু’জনেই লালন ভক্ত। আমি হিম উৎসবে বেড়াতে এসেছি। হলে আসার সময় আমি কপালে টিপ পরে এবং মুখ ও শরীর চাদরে মুড়িয়ে হলে প্রবেশ করি।’

এ সময় আটক পারভেজ ওই নারী শিক্ষার্থীকে বিয়ের বন্দোবস্ত করেছেন বলে দাবি করেন। তবে ওই নারী শিক্ষার্থীর স্বামীকে ফোন দেওয়া হলে তিনি পারভেজকে চেনেন না বলে জানান।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হই। অভিযুক্তদের প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, আটক যুবক ও অভিযুক্ত নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।