মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিয়ের দিনে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

  • Reporter Name
  • Update Time : ০১:৫৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৮৮ Time View

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিয়ের দিনে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌর শহরের জগথা মহল্লার একটি আম বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরিফ ইসলাম মৃত মোস্তফা আলমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আরিফ ইসলামের সাথে সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে বর বেশে নববধূ আনতে যাওয়ার কথা ছিল আরিফের। কিন্তু তার আগেই ভোর রাতে বাড়ির পাশের আম বাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

সূত্র জানায়, আরিফ শহরের চৌরাস্তায় ওষুধের দোকান করতেন। বিয়েতে মত ছিল না তার। শারীরিক সমস্যা আছে এমনটা দাবি করে বিয়ে করতে চাননি তিনি। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগে। এর আগেও তার বিয়ে ঠিক করা হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আরিফ। এবারো বিয়েতে মত ছিল না তার। এক প্রকার জোর করেই তার বিয়ে ঠিক করা হয়। এতে বাধ্য হয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা তাদের।

জোর করে বিয়ে ঠিক করা হয়নি দাবি করে আরিফের বোন রনি আক্তার বলেন, তার মতামত নিয়েই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। রাতে বাড়িতেই ছিল তার ভাই। খাওয়া-দাওয়া শেরে বাড়ির নিজ ঘরেই ঘুমায় সে। ভোর রাতে ভাইকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে এক পর্যায়ে পাশের আমবাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Tavir Rahman

জনপ্রিয়

বিয়ের দিনে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

Update Time : ০১:৫৬:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিয়ের দিনে বরের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার(২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে পৌর শহরের জগথা মহল্লার একটি আম বাগান থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত আরিফ ইসলাম মৃত মোস্তফা আলমের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আরিফ ইসলামের সাথে সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের জনৈক ব্যক্তির কন্যার পারিবারিক ভাবে বিয়ে ঠিক হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে বর বেশে নববধূ আনতে যাওয়ার কথা ছিল আরিফের। কিন্তু তার আগেই ভোর রাতে বাড়ির পাশের আম বাগানে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।

সূত্র জানায়, আরিফ শহরের চৌরাস্তায় ওষুধের দোকান করতেন। বিয়েতে মত ছিল না তার। শারীরিক সমস্যা আছে এমনটা দাবি করে বিয়ে করতে চাননি তিনি। কিন্তু পরিবারের লোকজন তাকে বিয়ে দিতে উঠে পড়ে লাগে। এর আগেও তার বিয়ে ঠিক করা হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান আরিফ। এবারো বিয়েতে মত ছিল না তার। এক প্রকার জোর করেই তার বিয়ে ঠিক করা হয়। এতে বাধ্য হয়েই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা তাদের।

জোর করে বিয়ে ঠিক করা হয়নি দাবি করে আরিফের বোন রনি আক্তার বলেন, তার মতামত নিয়েই বিয়ে ঠিক করা হয়েছিল। রাতে বাড়িতেই ছিল তার ভাই। খাওয়া-দাওয়া শেরে বাড়ির নিজ ঘরেই ঘুমায় সে। ভোর রাতে ভাইকে ঘরে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজি করে এক পর্যায়ে পাশের আমবাগানে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

পীরগঞ্জ থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন।