বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো নথিপত্র নিয়ে যাওয়া দুটি ট্রাক আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা। শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কাগাশুরা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। পরে ট্রাক দুটি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
চরবাড়িয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জিয়াউল ইসলাম সাবু বলেন, সচিবালয়ে আগুন দিয়ে নথিপত্র পুড়িয়ে ফেলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মাঝে সন্দেহ হয় সেই ধরনের কোনও ঘটনা কিনা। এ কারণে তারা ট্রাক দুটি আটকে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানকে বিষয়টি জানায়। এরপর ঘটনাস্থলে এসে নির্বাহী প্রকৌশলী সবাইকে বলেন, এগুলো বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের পুরোনো কাগজ এবং আসবাবপত্র। পুড়িয়ে ফেলার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার পর ট্রাক দুটি ছেড়ে দেয় স্থানীয় জনতা।এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বরিশাল শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রায় এক যুগের পুরোনো দাফতরিক নথিপত্র এগুলো। যার কার্যকারিতা শেষ হয়ে গেছে বিধায় পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ভাড়া করা দুটি ট্রাকে এসব নথিপত্র ও আসবাবপত্র ভর্তি করে তা নগরের ময়লা খোলার ভাগাড়ে নিয়ে পুড়িয়ে ফেলার জন্য অফিসের দুই কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে নির্দেশ দেওয়া হয়।তিনি বলেন, অফিসের দুই কর্মকর্তার কেউ বরিশালের ময়লার ভাগাড় চেনেন না। অফিস কর্মচারী এবং ট্রাক চালক নিজেদের সিদ্ধান্তে সেগুলো কাগাশুরা এলাকার বাজারের পেছনে নিয়ে যান। আমার ধারণা, এসব কাগজ না পুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করতে চেয়েছেন তারা। এ সময় এক বান্ডিল কাগজ ট্রাক থেকে রাস্তায় পড়ে যায়। স্থানীয় জনতা তা তুলে দেখে সরকারি নথিপত্র ভেবে ট্রাক দুটি আটকে দেয়। তাদের ধারণা ছিল, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। আসলে তেমন কিছুই নয়, এগুলো আমাদের অফিসের পুরোনো নথিপত্র। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদের খবর দেয়। আমরা এসে বিষয়টি বুঝিয়ে বললে স্থানীয় জনতা ও পুলিশ সেগুলো ফেরত দেয়।