অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ভুলবুঝাবুঝি সময়ের অপচয় : তারেক রহমান

  • Reporter Name
  • Update Time : 04:58:57 am, Sunday, 26 January 2025
  • 43 Time View

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কোনো ভুল বুঝাবুঝি অযথা কুট তর্ক সময়ের অপচয় বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ধৈর্য্য ধরে মানতে পারে, মেনে নিতে পারে, তাহলে যারা সরকারে রয়েছেন তাদের ধৈর্য্য ও সহনশীলতা আরও অনেক বেশি থাকা জরুরি।

বিএনপি মনে করে, জনগণকে নিয়ে রাজনীতি নয় বরং জনগণের জন্যই রাজনীতি। এই কারণে বিএনপি যেকেনো মূল্যে দেশের জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করতে চায়। জাতীয় শিক্ষক দিবস এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তরুণরা নতুন দল করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত এসব তরুণদের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে অবশ্যই বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন সেটি জনগণকে হতাশ করবে, কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাক্সিক্ষত।

তিনি বলেন, অবশ্যই আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক।
নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্যকরী হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছাড়ানো কিংবা বির্তক সৃষ্টি হওয়ার লিপ্ত হওয়ার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতা উৎস। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, পূঁথিগত বিধির ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। গণতন্ত্র বিকশিত এবং শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের কার্যক্রম, আচরণে এবং চর্চায়। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্নমত ভিন্ন পথ থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন, আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মাফিয়া প্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর পর মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশের সামনে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিংবা বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে অযাচিত ভুল বুঝাবুঝির কারণে যাতে একটি গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখিন না হয় এ ব্যাপারে আমাদের সবাই অত্যন্ত সর্তক থাকতে হবে।

নির্বাচন ও সংস্কার দুইটাই জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংস্কার নাকি নির্বাচন, কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কূট তর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। আমরা যদি দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখি তাহলে কিন্তু সেটি ভিন্ন। দেশের কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মুহূর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগণের চাপিয়ে দেয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নি¤œ-মধ্যভিত্ত পরিবারের কাছেও সংসার টেকানোই অনেক ক্ষেত্রে দায় হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারে চলছে নিরব হাহাকার। কিভাবে জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ-দুদর্শা লাগব করা যায়? বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য জনগণের হাতের নাগালে রাখা যায়? কিভাবে জনগণকে ফ্যাসিস্টদের আমলে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দেয়া যায়? কিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা সম্ভব, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে অগ্রাধিকারের তালিকায় এই বিষয়গুলো থাকা অত্যন্ত জরুরি।

তারেক রহমান বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো সর্বজন সমর্থিত একটি নির্দলীয় অরাজনৈতিক সরকারের পক্ষেই বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে জনগণকে মুক্তি দেয়া সহজ। তাহলে এখন প্রশ্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এতোদিনেও কেনো বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? জনগণের ওপরে কেনো উল্টো ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, এখনো কেনো বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য চলছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক তাহলে কি সরকারের কেউ কেউ অন্য কোনো ইস্যুতে বেশি মনোযোগী নাকি সরকার পারছে না?
তিনি আরো বলেন, সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা মনে করি, এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। কারণ হাজারো শহীদের রক্ত মাড়িয়ে একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Tavir Rahman

Popular Post

অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে ভুলবুঝাবুঝি সময়ের অপচয় : তারেক রহমান

Update Time : 04:58:57 am, Sunday, 26 January 2025

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে কোনো ভুল বুঝাবুঝি অযথা কুট তর্ক সময়ের অপচয় বলে মনে করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, জনগণ যদি বৃহত্তর স্বার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকারের ব্যর্থতা ধৈর্য্য ধরে মানতে পারে, মেনে নিতে পারে, তাহলে যারা সরকারে রয়েছেন তাদের ধৈর্য্য ও সহনশীলতা আরও অনেক বেশি থাকা জরুরি।

বিএনপি মনে করে, জনগণকে নিয়ে রাজনীতি নয় বরং জনগণের জন্যই রাজনীতি। এই কারণে বিএনপি যেকেনো মূল্যে দেশের জনগণের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করতে চায়। জাতীয় শিক্ষক দিবস এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ও বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির জাতীয় সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গনে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তরুণরা নতুন দল করলে বিএনপি স্বাগত জানাবে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দেশের ছাত্র-তরুণরা রাষ্ট্র রাজনীতি ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছে। এটি অবশ্যই একটি ইতিবাচক দিক। এসব তরুণরাই গত দেড় দশকে একটি নির্বাচনেও ভোট দিতে পারেনি। গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার বঞ্চিত এসব তরুণদের কেউ যদি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে অবশ্যই বিএনপি সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেন সেটি জনগণকে হতাশ করবে, কিংবা অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ কিংবা বক্তব্য যদি ঝগড়াসুলভ অথবা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে হবে অনাকাক্সিক্ষত।

তিনি বলেন, অবশ্যই আজকের তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ। অতীত থেকে বেরিয়ে এসে তারণরা নতুন পথ রচনা করবে। তবে কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে নয়, পথটি হওয়া উচিত স্বচ্ছ এবং স্বাভাবিক।
নির্বাচন নিয়ে বির্তক সৃষ্টি পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করবে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, নির্বাচনই হচ্ছে জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায় নিশ্চিত করার অন্যতম প্রধান কার্যকরী হাতিয়ার। নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে বির্তক সৃষ্টি করার অর্থ নিজেদের অজান্তে পরাজিত পলাতক ফ্যাসিস্টদের অবস্থানকে শক্তিশালী করা।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কোনো কার্যক্রম নিয়ে কেউ যাতে বিভ্রান্তি ছাড়ানো কিংবা বির্তক সৃষ্টি হওয়ার লিপ্ত হওয়ার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে অবশ্যই আপনাদেরকে সজাগ থাকতে হবে। জনগণই বিএনপির সকল রাজনৈতিক ক্ষমতা উৎস। জনগণ সঙ্গে থাকলে কোনো ষড়যন্ত্রই আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবে না ইনশাল্লাহ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমি শিক্ষক-বুদ্ধিজীবী-সাংবাদিকসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলতে চাই, পূঁথিগত বিধির ওপরে গণতন্ত্রের বিকাশ নির্ভর করে না। গণতন্ত্র বিকশিত এবং শক্তিশালী হয় প্রতিদিনের কার্যক্রম, আচরণে এবং চর্চায়। আমাদের মধ্যে অবশ্যই ভিন্নমত ভিন্ন পথ থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। তবে আমাদের উদ্দেশ্য এক এবং অভিন্ন, আমাদের সবার উদ্দেশ্য একটি উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে মাফিয়া প্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর পর মাফিয়ামুক্ত বাংলাদেশের সামনে গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এক অপার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পলাতক স্বৈরাচার এবং তাদের দোসরদের ষড়যন্ত্র কিংবা বাংলাদেশের পক্ষের গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে অযাচিত ভুল বুঝাবুঝির কারণে যাতে একটি গণতান্ত্রিক বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুযোগ এবং সম্ভাবনা হুমকির সম্মুখিন না হয় এ ব্যাপারে আমাদের সবাই অত্যন্ত সর্তক থাকতে হবে।

নির্বাচন ও সংস্কার দুইটাই জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংস্কার নাকি নির্বাচন, কেউ কেউ এমন উদ্দেশ্য প্রণোদিত প্রশ্ন নিয়ে কূট তর্ক করার অপচেষ্টা করেছে। আমরা যদি দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি দেখি তাহলে কিন্তু সেটি ভিন্ন। দেশের কোটি কোটি পরিবারের কাছে এই মুহূর্তে নির্বাচন এবং সংস্কারের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সংসার পরিচালনা করা। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি অপরদিকে জনগণের চাপিয়ে দেয়া ভ্যাটের বোঝা। ফলে দেশের কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ এমনকি নি¤œ-মধ্যভিত্ত পরিবারের কাছেও সংসার টেকানোই অনেক ক্ষেত্রে দায় হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারে চলছে নিরব হাহাকার। কিভাবে জনগণের নিত্যদিনের দুঃখ-দুদর্শা লাগব করা যায়? বাজার সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্য জনগণের হাতের নাগালে রাখা যায়? কিভাবে জনগণকে ফ্যাসিস্টদের আমলে মিথ্যা মামলা থেকে রেহাই দেয়া যায়? কিভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় করা সম্ভব, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়? অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামনে অগ্রাধিকারের তালিকায় এই বিষয়গুলো থাকা অত্যন্ত জরুরি।

তারেক রহমান বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো সর্বজন সমর্থিত একটি নির্দলীয় অরাজনৈতিক সরকারের পক্ষেই বাজার সিন্ডিকেটের কবল থেকে জনগণকে মুক্তি দেয়া সহজ। তাহলে এখন প্রশ্ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এতোদিনেও কেনো বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ? জনগণের ওপরে কেনো উল্টো ভ্যাটের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে, এখনো কেনো বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য চলছে। এমন পরিস্থিতিতে জনগণের মনে প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক তাহলে কি সরকারের কেউ কেউ অন্য কোনো ইস্যুতে বেশি মনোযোগী নাকি সরকার পারছে না?
তিনি আরো বলেন, সরকারের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও আমরা মনে করি, এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। কারণ হাজারো শহীদের রক্ত মাড়িয়ে একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে এই সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে।

শিক্ষক-কর্মচারি ঐক্যজোটের সভাপতি অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় শিক্ষক সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।