সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি

  • Reporter Name
  • Update Time : ১০:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ১০৩ Time View

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের মিলনায়তনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু একথা জানান।
সাবেক এই উপমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মানুষেরা তিস্তা নদীর পানি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের কাছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি। ভারত সরকার আওয়ামী লীগকে তিস্তা পানি চুক্তি নাকি ক্ষমতায় থাকবে তা বেঁছে নিতে বললে তারা ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।দুলু আরও বলেন, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীন ২০১৬ সালে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে নকশা প্রণয়ন করেছে। ৮ কিলোমিটার প্রস্থ তিস্তা নদীকে দেড় কিলোমিটার করা হবে। নদীর দু’ধারে প্রশস্ত রাস্তা, গাইড বাঁধ, স্যাটেলাইট শহর, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাউজিং ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান হবে। রংপুরের মানুষ আশাবাদী ছিল এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদী তার যৌবন ফিরে পাবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা হবে নদীপাড়ের মানুষের জীবন রক্ষার প্রকল্প। কিন্তু সেই প্রকল্প পতিত আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবায়ন করেনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা বাক স্বাধীনতা পেয়েছি। রংপুরের মানুষ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে জেগে উঠেছে। এ লক্ষ্যে তিস্তা নদীর পানি চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ানি রংপুরের ৫ জেলার তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তিস্তা পানি নিয়ে বৈষম্যের বিষয়টি গোটা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, সম্প্রতি সরকারের দু’জন উপদেষ্টা রংপুরে তিস্তা নদী গণশুনানিতে বলে গেছেন। তারা এবছর তিস্তা নদীতে কিছু কাজ করতে চান। এ বিষয়ে তিস্তাপাড়ের মানুষের মাঝে আপত্তি রয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে তিস্তায় বিক্ষিপ্ত কাজ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করার প্রয়োজনীয়তা নেই। তিস্তাপাড়ের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। বিলম্ব হলেও পরিকল্পিতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাওয়া সকলের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, সদস্য এমদাদুল হক ভরসা ও সালেকুজ্জামান সালেক প্রমুখ।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Tavir Rahman

জনপ্রিয়

গাইবান্ধায় মিথ্যা মামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

তিস্তা মহাপরিকল্পনাসহ পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি

Update Time : ১০:২৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলের মিলনায়তনে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি’র রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবীব দুলু একথা জানান।
সাবেক এই উপমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিস্তা নদী বেষ্টিত লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলার মানুষেরা তিস্তা নদীর পানি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের কাছে উত্তরাঞ্চলের মানুষ তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু সেই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি। ভারত সরকার আওয়ামী লীগকে তিস্তা পানি চুক্তি নাকি ক্ষমতায় থাকবে তা বেঁছে নিতে বললে তারা ক্ষমতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।দুলু আরও বলেন, বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র চীন ২০১৬ সালে তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে নকশা প্রণয়ন করেছে। ৮ কিলোমিটার প্রস্থ তিস্তা নদীকে দেড় কিলোমিটার করা হবে। নদীর দু’ধারে প্রশস্ত রাস্তা, গাইড বাঁধ, স্যাটেলাইট শহর, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাউজিং ও পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থান হবে। রংপুরের মানুষ আশাবাদী ছিল এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা নদী তার যৌবন ফিরে পাবে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা হবে নদীপাড়ের মানুষের জীবন রক্ষার প্রকল্প। কিন্তু সেই প্রকল্প পতিত আওয়ামী লীগ সরকার বাস্তবায়ন করেনি।

বিএনপির এই নেতা বলেন, জুলাই বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা বাক স্বাধীনতা পেয়েছি। রংপুরের মানুষ তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে জেগে উঠেছে। এ লক্ষ্যে তিস্তা নদীর পানি চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ানি রংপুরের ৫ জেলার তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে লক্ষাধিক মানুষ নিয়ে টানা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি পালন করা হবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে তিস্তা পানি নিয়ে বৈষম্যের বিষয়টি গোটা বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

আসাদুল হাবীব দুলু বলেন, সম্প্রতি সরকারের দু’জন উপদেষ্টা রংপুরে তিস্তা নদী গণশুনানিতে বলে গেছেন। তারা এবছর তিস্তা নদীতে কিছু কাজ করতে চান। এ বিষয়ে তিস্তাপাড়ের মানুষের মাঝে আপত্তি রয়েছে। মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে তিস্তায় বিক্ষিপ্ত কাজ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকা অপচয় করার প্রয়োজনীয়তা নেই। তিস্তাপাড়ের মানুষ অনেক কষ্ট করেছে। বিলম্ব হলেও পরিকল্পিতভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন চাওয়া সকলের।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক, মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব অ্যাড. মাহফুজ-উন-নবী ডন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকু, সদস্য এমদাদুল হক ভরসা ও সালেকুজ্জামান সালেক প্রমুখ।