রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসি টাকা ছাড়া দুনিয়াত আর কিছু দেখে না’

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৬:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
  • ৮৩ Time View

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুন-নবীর বিরুদ্ধে ‘মামলা বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ঘটনার ৭ মাস ১৭ দিন পর করা একটি মামলা এবং বাদীর কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ‘চাহিদামতো টাকা না পেয়ে’ ওই মামলায় অনেক নিরীহ মানুষকে জড়ানো হয়েছে। এমনকি ‘আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে হামলার’ অভিযোগে করা সেই মামলাটিতে বিএনপির লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ৩ মার্চ ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। তদন্ত ছাড়া ওসি ওইদিনই মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

মামলার বাদী উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মো. শহিদুল্লার ছেলে মো. আব্দুর রহিম। বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত আব্দুর রহিম একটি টেভি চ্যানেলের স্থানীয় প্রতিনিধি।

এজাহারে বলা হয়, ১৮ জুলাই হাতীবান্ধা কৃষি ব্যাংকের সামনে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের ভিডিও ধারণ করার সময় হামলার শিকার হন আব্দুর রহিম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলায় ২৩ নম্বর আসামি মো. মমিনুর ইসলাম মমিন উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি। ৪৫ নম্বর আসামি সাহিনুর রহমান ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি। দুজনই অভিযোগ করেন, টাকা না পেলে ওসি তাদের মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন।

মমিনুর ইসলাম মমিন বলেন, ‘টাকা না পেয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন।’

সাহিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই আমাদের আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি একজনের মাধ্যমে টাকা দাবি করেছিলেন।’

আরও জানা যায়, উপজেলার বড়খাতা বাজারে ব্যবসা করেন-এমন দুই ভাইকেও ওই মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা রাজনীতিতে জড়িত নন। তাদের কাছে আরেক সাংবাদিক ২০২১ সালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। চাকরি হয়নি, সেই টাকাও এ পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Tavir Rahman

জনপ্রিয়

ওসি টাকা ছাড়া দুনিয়াত আর কিছু দেখে না’

Update Time : ০৬:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুন-নবীর বিরুদ্ধে ‘মামলা বাণিজ্যের’ অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে ঘটনার ৭ মাস ১৭ দিন পর করা একটি মামলা এবং বাদীর কল রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ‘চাহিদামতো টাকা না পেয়ে’ ওই মামলায় অনেক নিরীহ মানুষকে জড়ানো হয়েছে। এমনকি ‘আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে হামলার’ অভিযোগে করা সেই মামলাটিতে বিএনপির লোকজনকেও আসামি করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ৩ মার্চ ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়। তদন্ত ছাড়া ওসি ওইদিনই মামলাটি নথিভুক্ত করেন।

মামলার বাদী উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী গ্রামের মো. শহিদুল্লার ছেলে মো. আব্দুর রহিম। বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত আব্দুর রহিম একটি টেভি চ্যানেলের স্থানীয় প্রতিনিধি।

এজাহারে বলা হয়, ১৮ জুলাই হাতীবান্ধা কৃষি ব্যাংকের সামনে আওয়ামী লীগের একটি মিছিলের ভিডিও ধারণ করার সময় হামলার শিকার হন আব্দুর রহিম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মামলায় ২৩ নম্বর আসামি মো. মমিনুর ইসলাম মমিন উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি। ৪৫ নম্বর আসামি সাহিনুর রহমান ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কৃষকদলের সভাপতি। দুজনই অভিযোগ করেন, টাকা না পেলে ওসি তাদের মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়েছিলেন।

মমিনুর ইসলাম মমিন বলেন, ‘টাকা না পেয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছেন।’

সাহিনুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই আমাদের আসামি করে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি একজনের মাধ্যমে টাকা দাবি করেছিলেন।’

আরও জানা যায়, উপজেলার বড়খাতা বাজারে ব্যবসা করেন-এমন দুই ভাইকেও ওই মামলায় জড়ানো হয়েছে। যারা রাজনীতিতে জড়িত নন। তাদের কাছে আরেক সাংবাদিক ২০২১ সালে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। চাকরি হয়নি, সেই টাকাও এ পর্যন্ত ফেরত দেওয়া হয়নি।