
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
আজ শনিবার সকালে জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১৫ জুন জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুল কুদ্দুস বেপারী এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য আব্দুল জলিল মাদবর চেয়ারম্যান নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে জয়ী হন কুদ্দুস বেপারী। সেই থেকেই চেয়ারম্যান কুদ্দুস ও জলিলের মধ্যে এলাকায় নির্বাচন ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মাঝে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় কুদ্দুসের সমর্থক সালাউদ্দিন মাস্টার ও জলিল সমর্থক ছালেক মাদবরের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ফের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় শতাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মারুফ ও হাসান নামে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুপক্ষের সংঘর্ষ এবং হাতবোমা বিস্ফোরণের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায় একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। অনেককে হাতে বালতি নিয়ে হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। উভয় পক্ষই বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করছে। সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।
এ ব্যাপারে কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাদবরেরবক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
জাজিরা থানার ওসি দুলাল আখন্দ বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।