রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৭ মাসে ২৫ বিয়ে, গ্রেপ্তার সেই ‘লুটেরা বধূ

  • Reporter Name
  • Update Time : ০৫:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • ১৬০ Time View

৭ মাসের মধ্যে ২৫ জনকে বিয়ে করে তাদের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছেন এক নারী।তাই এই প্রতারণার কারণে নাম হয়ে গিয়েছিল ‘লুটেরা বধূ’। এবার বর সেজে তাকে বিয়ে করতে চান এক পুলিশ। প্রতারক সেই নারী নিজেই ফাঁদে পা দেন আর গ্রেপ্তার হন পুলিশের কাছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর নাম ‘অনুরাধা পাসওয়ান। গতকাল তাকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অনুরাধা আইনিভাবে বিয়ে করতেন। বিয়ের পর কয়েক দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতেন এবং রাতে সুযোগ পেয়ে নগদ অর্থ, গহনা ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতেন।

তিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই চক্রটি স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিয়ের জন্য আগ্রহী পুরুষদের টার্গেট করত। অভিযুক্ত বধূর এজেন্টরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নববধূদের ফটো দেখিয়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা চাইতো।

অনুরাধার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি করেন সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা। চলতি মাসের ৩ মে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে, তিনি সুনিতা ও পাপ্পু মীনা নামের দুই এজেন্টকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বিয়ের ব্যবস্থা করতে। গত ২০ এপ্রিল কোর্ট ম্যারেজের পর অনুরাধা চলতি মাসের ২ মে বিষ্ণুর দেয়া গহনা ও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।

বিষ্ণু শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘আন্ডারকভার অপারেশনে’ নামে পুলিশ। এক গোয়েন্দাকে ‘পাত্র’ সাজিয়ে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করানো হয়। যখন এজেন্টরা অনুরাধার ছবি পাঠায়, তখন ফোনের লোকেশন ফলো করে অনুরাধাকে ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Farhan Shekh

৭ মাসে ২৫ বিয়ে, গ্রেপ্তার সেই ‘লুটেরা বধূ

Update Time : ০৫:২৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

৭ মাসের মধ্যে ২৫ জনকে বিয়ে করে তাদের টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করেছেন এক নারী।তাই এই প্রতারণার কারণে নাম হয়ে গিয়েছিল ‘লুটেরা বধূ’। এবার বর সেজে তাকে বিয়ে করতে চান এক পুলিশ। প্রতারক সেই নারী নিজেই ফাঁদে পা দেন আর গ্রেপ্তার হন পুলিশের কাছে। ভারতের মধ্যপ্রদেশে ঘটেছে এই ঘটনা।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারীর নাম ‘অনুরাধা পাসওয়ান। গতকাল তাকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত অনুরাধা আইনিভাবে বিয়ে করতেন। বিয়ের পর কয়েক দিন স্বামীর সঙ্গে থাকতেন এবং রাতে সুযোগ পেয়ে নগদ অর্থ, গহনা ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে অদৃশ্য হয়ে যেতেন।

তিনি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এই চক্রটি স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিয়ের জন্য আগ্রহী পুরুষদের টার্গেট করত। অভিযুক্ত বধূর এজেন্টরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে নববধূদের ফটো দেখিয়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা চাইতো।

অনুরাধার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগটি করেন সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা। চলতি মাসের ৩ মে পুলিশের কাছে তিনি অভিযোগ করেন যে, তিনি সুনিতা ও পাপ্পু মীনা নামের দুই এজেন্টকে ২ লাখ টাকা দিয়েছিলেন বিয়ের ব্যবস্থা করতে। গত ২০ এপ্রিল কোর্ট ম্যারেজের পর অনুরাধা চলতি মাসের ২ মে বিষ্ণুর দেয়া গহনা ও জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।

বিষ্ণু শর্মার অভিযোগের ভিত্তিতে ‘আন্ডারকভার অপারেশনে’ নামে পুলিশ। এক গোয়েন্দাকে ‘পাত্র’ সাজিয়ে এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করানো হয়। যখন এজেন্টরা অনুরাধার ছবি পাঠায়, তখন ফোনের লোকেশন ফলো করে অনুরাধাকে ভোপাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়